'' বাংলা সাহিত্যের আসর ''

যে সমস্ত লেখক ও লেখিকা ' বাংলা সাহিত্যের আসরে ' তাদের নির্বাচিত লেখা প্রকাশ করতে চান,তারা তাদের লিখিত বিষয় টি Microsoft Words - এ লিখে অথবা Photo Shop -এ চিত্রসহ বিষয়টি প্রস্তুত করে samarkumarsarkar@yahoo.co.in বা samarkumarsarkar@gmail.com -এ E-mail করে পাঠিয়ে দেবেন । সদস্য হবার জন্য ও মন্তব্য লেখার জন্য Google Friend Connect ব্যবহার করুন। ব্লগ টিকে আপনাদের Face Book-এ Share করুন।

Sunday, December 30, 2012

ছন্দ ভেলা - সমর কুমার সরকার / শিলিগুড়ি



ছন্দ ভেলা

নিদ্রা মগন স্বপ্ন বিভোর মধুর লগন,
'এমন ক্ষণে',মুক্তি দিলাম তোমারে 'মন'।
দিলাম অবাধ স্বাধীনতা তোমায় আরো,
যেথায় খুশী,সেথায় তুমি যেতে পারো।
সওয়ার হয়ে কল্পনার ওই হালকা রথে,
বেড়িয়ে এসো,স্বপ্নলোকের অচিন পথে।
দিলাম তোমায় মনের ভাষা,বর্ণমালা,
পূর্ণ করো নিঃস্ব মনের রিক্ত ডালা।

মুক্ত তুমি,যাও না - "যেথায় মেঘের ভেলা,
নীল আকাশের স্বপ্ন মাখা তারার মালা।
নীহারিকার ছায়াপথে নবীন তারা,
কাজল মেঘের বাদল সোহাগ,বৃষ্টিধারা।
সাতরঙা ওই ইন্দ্রধনুর খিলান তলে,
ঢেউয়ের নাচন পান্না-সবুজ সাগর জলে।
চাঁদনী রাতে রূপালী চাঁদ স্বপ্নমায়া,
পাহাড়-চূড়ে বনভূমির স্নিগ্ধ ছায়া।"

কিংবা,ধরো মাটির বড় কাছাকাছি,
যাদের মায়ায় বদ্ধ হয়ে বেঁচে আছি।
"চষা মাঠের আল বেয়ে যাও তেপান্তরে,
সবুজ ফসল হাওয়ায় যেথায় নৃত্য করে।
পুষ্প বনে  ভ্রমর মাতাল মধু পানে ,
বনভূমি মুখর পাখীর কলতানে।
গ্রাম্য বধূ তুলসী তলায় প্রদীপ জ্বালে,
ঘোর আঁধারে,বাঁশের ঝাড়ে জোনাক জ্বলে।"

এ কি ! হঠাৎ স্বপন কেন গেল টুটে?
বিরক্তিকর চিহ্ন মুখে উঠলো ফুটে?
ঠিক বুঝেছি,মন যে আমার এলো ফিরে,
চির চেনা আঁধার কুঠি,আপন ঘরে।
কেন রে মন,মুক্ত জগত ছেড়ে এলি,
আমার মাঝে কি বা এমন খুঁজে পেলি?
মন হেসে কয়, "সারা জীবন তোমার ই দাস,
মিছে কেন আমায় নিয়ে এই পরিহাস?

সাধন বলে না হও যদি মুক্ত মানুষ,
কি লাভ তবে,উড়িয়ে খুশীর রঙ্গীন ফানুস?
সুন্দর এই পৃথিবী কে জানতে হলে,
রাখতে হবে মনের সকল দুয়ার খুলে।
মন যেন হয় নীল আকাশের মুক্ত পাখী,
বাঁধন হারা হয়ে সবায় বাঁধো দেখি !
সবারে জয় করলে পাবে বিজয় মালা,
ছন্দময় এ জীবন হবে ছন্দ ভেলা।"

*********************************
সমর কুমার সরকার / শিলিগুড়ি

[<a rel="license" href="http://creativecommons.org/licenses/by-nc-nd/3.0/deed.en_US"><img alt="Creative Commons License" style="border-width:0" src="http://i.creativecommons.org/l/by-nc-nd/3.0/88x31.png" /></a><br /><span xmlns:dct="http://purl.org/dc/terms/" property="dct:title">ছন্দ ভেলা</span> by <a xmlns:cc="http://creativecommons.org/ns#" href="http://www.blogger.com/blogger.g?blogID=1050337976214013732#editor/target=post;postID=7002509378061342779" property="cc:attributionName" rel="cc:attributionURL"> সমর কুমার সরকার / শিলিগুড়ি </a> is licensed under a <a rel="license" href="http://creativecommons.org/licenses/by-nc-nd/3.0/deed.en_US">Creative Commons Attribution-NonCommercial-NoDerivs 3.0 Unported License</a>.<br />Based on a work at <a xmlns:dct="http://purl.org/dc/terms/" href="samarkumarsarkar.blogspot.in" rel="dct:source">samarkumarsarkar.blogspot.in</a>.]

Thursday, December 27, 2012

রোপন ও বপন - সমর কুমার সরকার / শিলিগুড়ি




রোপন ও বপন

কাঠফাটা রোদ্দুরে সারাদিন খাটে একটানা,
কিষাণ ঘরের মেয়ে,খেটে খেতে নাই কোন মানা।
দুপুরে খোরাক মেলে 'লাল মোটা ভাত'এক থাল,
কোন দিন বাসি রুটি,মেটে আলু চচ্চড়ি,ডাল।
সস্তার খাটো শাড়ী,টেনে টুনে ঢাকা দুটি স্তন,
অন্তর্বাস হীন আলুথালু ভরা যৌবন। 
ঢলঢল যুবতীর দেহ বল্লরি দেয় দোলা,
জোতদার হাঙ্গরের লালসায় মুখে ঝরে লালা।

গোড়ালি ডোবানো জলে,নত মুখ,বাঁকা শিরদাঁড়া,
ঋতুমতী ধরণীর গর্ভেতে রোপে ধান চারা।
অবিরাম জলে ভিজে,পিঠ মুড়ে,রোদ্দুরে পুড়ে,
সন্ধ্যায় কিছু টাকা,কিছু চাল নিয়ে যায় ঘরে।
কামুক পুরুষ চোখ মনে মনে চেটে খায় দেহ,
পেটের আগুন বড়,তাই কিছু বলে না তো কেহ।
আশপাশে ফিস ফিস,ইঙ্গিত,নানা ছলা কলা,
কৌশলে কামনার ধন নিয়ে নিজ ঘরে তোলা।

রূপার পৈছা,নথ,ফিতা,কাঁটা,আয়না,চিরুণি,

স্নো,পাউডার তেল,সবই দেয় গোপনেতে কিনি।
রঙ্গীন কাঁচের চুড়ি,রোদ্দুরে ঝিলমিল করে,
লোভের ফাঁদের জালে পক্ষিণী যেন ধরা পড়ে।
সবুজ ধানের ক্ষেতে একদিন দুই দেহ মেলে,
পুরুষের বীজ নেয় প্রকৃতিতে আপনার কোলে।
হাওয়ায় দোলায় মাথা সোনালী-সবুজ কচি ধান,
কিষাণী জঠরে বাড়ে পিতৃ পরিচয় হীন প্রাণ।

**********************************
সমর কুমার সরকার / শিলিগুড়ি

**********************************
Creative Commons License
রোপন ও বপন by সমর কুমার সরকার / শিলিগুড়ি is licensed under a Creative Commons Attribution-NonCommercial-NoDerivs 3.0 Unported License.
Based on a work at samarkumarsarkar.blogspot.in


[<a rel="license" href="http://creativecommons.org/licenses/by-nc-nd/3.0/deed.en_US"><img alt="Creative Commons License" style="border-width:0" src="http://i.creativecommons.org/l/by-nc-nd/3.0/88x31.png" /></a><br /><span xmlns:dct="http://purl.org/dc/terms/" property="dct:title">রোপন ও বপন </span> by <a xmlns:cc="http://creativecommons.org/ns#" href="http://www.blogger.com/blogger.g?blogID=1050337976214013732#editor/target=post;postID=5516648442794150231" property="cc:attributionName" rel="cc:attributionURL">সমর কুমার সরকার / শিলিগুড়ি</a> is licensed under a <a rel="license" href="http://creativecommons.org/licenses/by-nc-nd/3.0/deed.en_US">Creative Commons Attribution-NonCommercial-NoDerivs 3.0 Unported License</a>.<br />Based on a work at <a xmlns:dct="http://purl.org/dc/terms/" href="samarkumarsarkar.blogspot.in" rel="dct:source">samarkumarsarkar.blogspot.in</a>.]

Monday, December 24, 2012

রাজার ছেলে গোল আঁকিলে - সমর কুমার সরকার / শিলিগুড়ি


রাজার ছেলে গোল আঁকিলে

রাজার ছেলে খাতার পাতায় আঁকলো হঠাৎ গোল,
তাই না দেখেই রাজসভাতে তুমুল শোরগোল।
অমাত্যরা সচকিত,ব্যাপার কি চাই জানা,
অসুখ বিসুখ হলো না কি? হাসতে কি ওর মানা?
ঘুমটা সঠিক হয়েছে তো? দিনে এবং রাতে?
হঠাৎ কেন রাজার ছেলে গোল আঁকে খাতা তে?
পাত্র মিত্র,পারিষদে করেন আলোচনা,  
খবর পাঠান গণকেরে,করতে যে গণনা।
ডেকে পাঠান চিত্রকরে,নৈয়ায়িক প্রবীন,
লেখক-কবি,রাজ-কবিরাজ,ওঝা ও গুণিন।
দিকে দিকে খবর নিয়ে সেপাই রা সব ছোটে,
এমন আজব দেখার জিনিস নিত্য কি আর জোটে ?

গণক এসে খড়ি দিয়ে ছক কেটে উঠানে,
বিচার করেন,'গ্রহরা সব কে আছে কোন স্থানে'।
হাতের রেখা,পায়ের রেখা,সব ক'রে বিচার,
রায় ঘোষণা করেন শেষে মুখটি ক'রে ভার।
"শনি এখন বক্রী আছেন বৃহস্পতির ঘরে,
অশান্ত মন রাজার ছেলের,তাই তো এমন করে।
গ্রহের পূজা করতে হবে,শান্তি স্বস্ত্যয়ন,
মুক্ত হলে গ্রহের প্রকোপ,শান্ত হবে মন।"
চিত্রকর এক এসে বলে,-"বিমূর্ত এ ছবি,
ক্ষিতির উপর বিরাজমান নীল গগনের রবি।
সাদা পাতায় কালোর আঁচড়,আঁধার এবং আলো,
শিল্পী-জগৎ 'প্রতিভা' এক নতুন খুঁজে পেলো।"

খবর পেয়ে সেথায় এসে প্রবীণ নৈয়ায়িক,
উচ্ছাসেতে বলেন,"অহো ! কোনটি অধিক ঠিক।
'খাতার মাঝে বৃত্ত',না কি 'বৃত্ত খাতার মাঝে',
সেই মীমাংসা হলেই,এ সব লাগবে দশের কাজে।
চলতে থাকুক চুল চেরা এই তত্ত্ব বিশ্লেষণ,
নস্য নাকে দিয়ে সুখে করি নিরীক্ষণ।"
এলেন কবি চশমা চোখে অতি আধুনিক,
উদাস চোখে তাকিয়ে বলেন,ভেবে দিক বিদিক-
"দুনিয়া টা গোলক ধাঁধা,কুহেলিকা ময়,
তারই মাঝে তুমি আমি,কেউ কাহারও নয়।
বৃত্তাকারে জীবন মরণ ঘুরে ফিরে আসে
সুবোধ বালক তাহাই বুঝি খাতা তে প্রকাশে।''

রাজ-কবিরাজ দেখে বলেন,"পেটে হলে বায়ু,

মন উচাটন হয় যে এমন,কমতে থাকে আয়ু।
ছাগলাদ্য ঘিয়ের সাথে পিষে নিমের ফল,
মিশিয়ে তাতে আধেক মধু,আধেক গোলাপ জল।
চাটনি খেতে হবে ক'দিন,দিনে দু-তিন বার,
সুস্থ  হলে এমন ছবি আঁকবে না তো আর।"
গুণিন ওঝা এসে বলেন,"ব্যাপারটা অদ্ভুত!
বাড়ির ভিতর ঘুরছে দেখি আবছায়া এক ভূত।
তার কু নজর পরেছে ওই রাজার ছেলের পরে,
তাই তো এমন অশান্তি তে গোল্লা এঁকে মরে।
ভূতের পূজা-ই করুন,যে দিন ভূত চতুর্দশী,
খিলখিলিয়ে হাসবে ছেলে,মন টা হবে খুশী।"

রাজার বাড়ী যজ্ঞ,পূজা,নেই কো কারো ঘুম,

পায়রা উড়ায়,বাজী পুড়ায় লক্ষ লোকের ধুম।
রাজার ছেলের স্ফুর্তি ভারী,মুখে মধুর হাসি,
সবাই বলে তোমার আঁকা বড়ই ভালবাসি।
উৎসাহেতে রাজার ছেলে আঁকে আর ও গোল,
স্তাবকেরা চালায় প্রচার,বাজিয়ে ঢাক,ঢোল।
দিকে দিকে ছড়িয়ে পড়ে,রাজার ছেলের কথা,
কথার সাথে কথা জুড়ে,লতায় বাড়ে পাতা।
দেশ বিদেশের ব্যবসায়ী,বুদ্ধিজীবী,ধনী,
রাজার ছেলের আঁকা ছবি কেনেন টাকা গুনি।
অমূল্য সব ছবি বিকায় লক্ষ,কোটি দরে,
সে সব ছবি পায় যে শোভা,ধনীর ঘরে ঘরে।

দরিদ্র এক চাষীর ছেলে,খবরটা কে শুনে,

দোকান থেকে সাদা খাতা আনলো যে এক কিনে।
পেনসিলেতে যত্ন করে আঁকলো খাতায় গোল,
ভেবেছিলো তার বাড়ীতে ও পড়বে শোরগোল।
উৎসাহেতে বাবার হাতে খাতা দিয়ে বলে,
'সাদা খাতার পাতাতে গোল আঁকে রাজার ছেলে।
আমিও তাই এঁকেছি যে,দেখো কেমন হলো।'
চাষী বলে করুণ মুখে,মুখটি করে কালো,-
"রাজার ছেলে যা আঁকে,তা কুড়ায় অনেক নাম,
দেশের ধনী লোকের কাছে তার যে অনেক দাম।
একই জিনিস আঁকলে তুমি খুঁজবে সবাই দোষ,
চিত্র নিয়ে রঙ-তামাশা ? বাড়বে জন রোষ। "

***************************************

সমর কুমার সরকার / শিলিগুড়ি
***************************************
Creative Commons License
রাজার ছেলে গোল আঁকিলে by সমর কুমার সরকার / শিলিগুড়িis licensed under a Creative Commons Attribution-NonCommercial-NoDerivs 3.0 Unported License.Based on a work at samarkumarsarkar.blogspot.com.


[<a rel="license" href="http://creativecommons.org/licenses/by-nc-nd/3.0/deed.en_US"><img alt="Creative Commons License" style="border-width:0" src="http://i.creativecommons.org/l/by-nc-nd/3.0/88x31.png" /></a><br /><span xmlns:dct="http://purl.org/dc/terms/" property="dct:title">রাজার ছেলে গোল আঁকিলে</span> by <a xmlns:cc="http://creativecommons.org/ns#" href="http://www.blogger.com/blogger.g?blogID=1050337976214013732#editor/target=post;postID=6539805770534896453" property="cc:attributionName" rel="cc:attributionURL">সমর কুমার সরকার / শিলিগুড়ি</a> is licensed under a <a rel="license" href="http://creativecommons.org/licenses/by-nc-nd/3.0/deed.en_US">Creative Commons Attribution-NonCommercial-NoDerivs 3.0 Unported License</a>.<br />Based on a work at <a xmlns:dct="http://purl.org/dc/terms/" href="samarkumarsarkar.blogspot.com" rel="dct:source">samarkumarsarkar.blogspot.com</a>.]

Friday, December 21, 2012

আজব ডাক্তার - সমর কুমার সরকার / শিলিগুড়ি


আজব ডাক্তার

আউটরামের ঘাটের কাছে মুক্তারামের ডেরা,
সারাটা দিন ঠেলা ঠেলে,রাত্রে ঘুমে 'মড়া'। 
শেষ রাত্রে পেটের ব্যথায় ঘুম টা গেল ছুটে,
ঘটি হাতে পাঁচ ছয় বার গেল নদীর ঘাটে।
এতেও যখন কমলো না তার পেটে তে যন্ত্রণা,
পাশের ঘরের গোপী র সাথে করে সে মন্ত্রণা।
মহল্লাতেই হারু নামে আছে এক হাতুড়ে,
হোমিওপ্যাথি,ইউনানী আর কবিরাজি করে।
জড়ি বুটি,পাঁচন বেচেই মহল্লাতে নাম,
জাগিয়ে তাকে,করুণ সুরে বলে মুক্তারাম-
"পেট মে বহুত দরদ হুজৌর,মরছি হামি ডরে,
সাদি উদি কুছ না হুয়া,ক্যায়সে আভি মরে?
দুহাই বাবু,গরীব আদমী,বোলবে না বাত ঝুটি,
সাঁঝ সে তো ম্যায় কুছ না খায়া,ছোড়কে বারহা রোটি।
পাঁচ ছ দফে ঘাট মে গিয়া,কুছ না হুয়া কাম।
জলদি দাওয়াই দে দো বাবু,"জয় সিয়ারাম"।

হোমিওপাথি করলে হারু ইংরাজীতেই বলে,
মওকা মতন মুর্খ মানুষ  তেমন রুগী পেলে।
খামচে ধরে পেটের নাড়ী, বলে- "মুখটারাম,
ইউ আর মাই গুড পেশেন্ট,নাউ ওয়েলকাম।
হোয়াই ইট টুয়েল্ভ ব্রেড,উইথ ব্রিঞ্জাল ফ্রাই ?
ড্রিঙ্কিং নো কুল ওয়াটার,ইয়োর স্টমাক ড্রাই।
ইয়োর বেলি এয়ার ফুলি,আউট ইয়োর গ্যাস,
ডক্টর ফিস টেন রুপীস,পে মি ইন ক্যাশ।
দিস ট্যাবলেট থ্রি টাইমস্, আফটার দি মিল,
কাম এগেইন,মিট মি দেন,হোয়েন ইউ আর হিল।"
ব্যথায় কাতর মুক্তারামের রাগে তে মুখ লাল,
বলে-"হামি গরীব আদমী,দেশ কা এইসন হাল।
আপনি হামায় অংগ্রেজিতে দাওয়াই দিলেন বলে?
মেহেরবানি,বাংলা বোলেন,বাংলা হামার চলে।"

হারু বলে,"ইংলিশ স্পিকিং,টেন রুপীস ফিস,
বাংলা বলতে পারি,যদি কুড়ি টাকা দিস।

***********************************
সমর কুমার সরকার / শিলিগুড়ি

***********************************
Creative Commons License
আজব ডাক্তার by সমর কুমার সরকার / শিলিগুড়ি is licensed under a Creative Commons Attribution-NonCommercial-NoDerivs 3.0 Unported License.
Based on a work at samarkumarsarkar.blogspot.com


[<a rel="license" href="http://creativecommons.org/licenses/by-nc-nd/3.0/deed.en_US"><img alt="Creative Commons License" style="border-width:0" src="http://i.creativecommons.org/l/by-nc-nd/3.0/88x31.png" /></a><br /><span xmlns:dct="http://purl.org/dc/terms/" property="dct:title">আজব ডাক্তার</span> by <a xmlns:cc="http://creativecommons.org/ns#" href="http://www.blogger.com/blogger.g?blogID=1050337976214013732#editor/target=post;postID=4283824901946742556" property="cc:attributionName" rel="cc:attributionURL">সমর কুমার সরকার / শিলিগুড়ি</a> is licensed under a <a rel="license" href="http://creativecommons.org/licenses/by-nc-nd/3.0/deed.en_US">Creative Commons Attribution-NonCommercial-NoDerivs 3.0 Unported License</a>.<br />Based on a work at <a xmlns:dct="http://purl.org/dc/terms/" href="samarkumarsarkar.blogspot.com" rel="dct:source">samarkumarsarkar.blogspot.com</a>.]

Tuesday, December 18, 2012

রম্যরচনা:ন হি সুখং দুঃখৈর্বিনা লভ্যতে - সমর কুমার সরকার / শিলিগুড়ি





রম্যরচনা:ন হি সুখং দুঃখৈর্বিনা লভ্যতে
***********************************

মৃত্তিকা নির্মিত কলস বা কলসি হয় তো আপনারা অনেকেই দেখিয়াছেন, কিন্তু কলস বা কলসি কি রূপে কোথায় নির্মিত হয়, তাহা স্বচক্ষে না দেখিবার কারণে, বা অজ্ঞতার কারণে, হয় তো ঐ বিষয়ে বিশেষ কিছু জানেন না। একটি সাদামাটা কলস বা কলসি  প্রস্তুত করিতে একজন কুম্ভকারের যে কি রূপ পরিশ্রম হয়,এবং নির্মাণ কৌশলের কত গুলি স্তর  অতিক্রম করিয়া,কত খানি ঘাত সহ হইবার পরে যে কলস বা কলসি শ্রীরূপ মণ্ডিত হয়,তাহা কুম্ভকার পল্লীতে গিয়া স্বচক্ষে দর্শন না করিলে বোধগম্য হওয়া দুষ্কর। আমাদের গল্প যে হেতু কলস নির্ভর, তাই কলসি কে লইয়া আলোচনা বাহুল্য মাত্র। প্রশ্ন করিতে পারেন, কলস ও কলসির মধ্যে পার্থক্য কি? স্থূল দৃষ্টি তে পার্থক্য পরিলক্ষিত না হইলেও উভয়ের মধ্যে বহুবিধ পার্থক্য বর্তমান। ব্যাকরণ মতে :
 কলস=ক (জল) - লস্+অন্ কর্তৃ। পুং বা ক্লীব লিঙ্গ বাচক শব্দ। আর কলসি =ক(জল)-লস+ই,ঈপ্। স্ত্রীলিঙ্গ বাচক শব্দ। 
আকার ও ব্যবহার বিধি বিচারে কলস বৃহদাকার জলপাত্র, গ্রীবা  কলসির তুলনায় ঈষৎ দীর্ঘ। গ্রাম্য রমণীরা ঐ কলস কাঁখে লইয়া নদী,পুকুর বা দূরবর্তী কোন কূপ বা নলকূপ হইতে পানীয় জল আনয়ন করেন। কলসি বা ঘড়া আকারে কলসের তুলনায় ক্ষুদ্র, গ্রীবা ঈষৎ হ্রস্ব। উহা তণ্ডুল ও গুড় রাখিবার মৃৎ পাত্র,খর্জুর বৃক্ষ হইতে রস আহরণের পাত্র,শ্মশানে জ্বলন্ত চিতাগ্নি তে জল সিঞ্চনের পাত্র প্রভৃতি রূপে বহুল ব্যবহৃত।
গ্রাম্য রমণীরা নদী বা পুকুরে স্নান করিতে গেলে অবশ্যই একটি কলসি সঙ্গে নেন। একাধিক গ্রাম্যবধূ কোমর প্রমাণ জলে শরীর ডুবাইয়া পরনিন্দা, পরচর্চার ফাঁকে ফাঁকে ঐ কলসি জলে পূর্ণ করিয়া তাহা আপনার মস্তকে ও সর্বাঙ্গে ঢালিয়া তিন চতুর্থাংশ স্নান সমাপন করেন। আর যাহা হউক, জলে ডুব দিয়া তো আর পরনিন্দা সম্ভব নয়! শেষে পরনিন্দা সঞ্জাত আনন্দে মন যখন পরিপূর্ণ হয়, তখন টপাটপ কয়েকটি ডুবে স্নান সমাপনান্তে ঐ কলসি জলে পূর্ণ করিয়া গৃহাভিমুখে অগ্রসর হন।
গ্রাম্য কিশোরী ও রমণীদের সাঁতার শিখিবার এক বড় অবলম্বন এই কলসি। তাহারা শূণ্য কলসিকে উল্টাইয়া জলমধ্যে স্থাপন করিলে প্লবতার ধর্ম অনুসারে ঐ কলসি আর জলে নিমজ্জিত হইতে পারে না। তখন ঐ কলসির ভাসমান তলদেশের উপর আপন উদর বা বক্ষাঞ্চল স্থাপন করিয়া জল তলে ক্রমাগত হস্ত পদ সঞ্চালনের মাধ্যমে তুমুল জলাঘাতের শব্দ সহকারে সাঁতার শিক্ষা করেন। 
গ্রাম্য রমণীরা কলসির অপপ্রয়োগ ও করেন। যে রমণীর মনে এই ভাবাবেগের উদ্রেক হয় যে, জীবনে বাঁচিয়া থাকিবার আর প্রয়োজন নাই, তিনি কলসির সহিত দুই হস্ত প্রমান একখণ্ড দড়ি যে কোন মতে সংগ্রহ করিয়া,চুপিসাড়ে জলাশয়ে অবতরণ করেন। তৎপর ঐ দড়ির এক প্রান্ত কলসির গ্রীবায় এবং অপর প্রান্ত নিজ গ্রীবায় বন্ধনপূর্বক ডুব দিয়া কলসি টি জলপূর্ণ করিয়া আপনাকে গভীর জলের দিকে ঠেলিয়া দেন। ভারী জল পূর্ণ কলসি ঐ রমণীকে আর জলতলের উপরিভাগে উঠিয়া শ্বাস গ্রহণের সুযোগ দেয় না,ফলে ঐ রমণী কিছুক্ষণের মধ্যেই  ভব যন্ত্রণা হইতে মুক্তি লাভ করেন।

এই কলস কি রূপে প্রস্তুত করা হয়,তাহা অবগত হউন। ভিজা এঁটেল মূত্তিকা দ্বারা এই কলস কে প্রথমে  পৃথক পৃথক ভাবে একাদিক্রমে গ্রীবাদেশ, মধ্যদেশ ও তলদেশ এই তিনভাগে ছাঁচে ঢালিয়া প্রস্তুত করা হয়। তৎ পরে প্রতিটি খণ্ডকে কাষ্ঠ নির্মিত ছাঁচের উপরে রাখিয়া কাষ্ঠ নির্মিত হাতল যু্ক্ত মুদ্গরের সহায়তায় প্রহার করিয়া ঘাত সহ ও শক্ত করা হয়। শেষে তিনটি পৃথক খণ্ডকে জল ও কাদা মাটি লেপনের সাহায্যে যুক্ত করিয়া প্রখর রৌদ্রে শুষ্ক করা হয়। কয়েক দিন এই প্রকার রৌদ্রদগ্ধ করিবার পরে কলস গাত্রে পুনরায় পঙ্ক লেপন করিয়া উহাকে বিশেষ উপায়ে নির্মিত চুল্লি তে সারিবদ্ধরূপে সজ্জিত করিয়া রাশিকৃত জ্বালানি সহযোগে অগ্নিদগ্ধ করা হয়। সর্ব শেষে একমাত্র উত্তম রূপে দগ্ধ কলসগুলিই ব্যবহারের উপযোগী বলিয়া বিবেচিত হয়।


ধান ভানিতে শিবের গীতি হইলো,এ ক্ষণে মূল গল্পে ফিরিয়া যাই।প্রাচীন বঙ্গে সংস্কৃতই ছিল সাহিত্য চর্চার মূল ভাষা। এই অমৃত মধুর ভাষার প্রয়োগে অত্যন্ত অশিষ্ট বিষয়কেও ছন্দ ও অলঙ্কার নৈপুণ্যে শিষ্ট রূপে পরিবেশন সম্ভব হইতো। বহুল প্রচলিত ভাষা হওয়ার কারণে স্ত্রী পুরুষ নির্বিশেষে সকল শ্রেণীর লোকেই তখন সংস্কৃত বুঝিতেন। ঐ সময় কালে, নদী বিধৌত উত্তরবঙ্গ স্থিত শিলগাড়া নামক এক জনপদে প্রতাপাদিত্য নামক এক মেধাবী যুবক বাস করিতেন। যুবকের প্রধান দোষ এই যে,অন্যান্য যুবকেরা যথায় যুবকোচিত ধর্মে স্বীয় উপার্জন দ্বারা অন্ন সংস্থানের চিন্তা করিতেন, তথায় অলস ও স্বপ্ন বিলাসী প্রতাপাদিত্য কাব্য রচনায় কালাতিপাত করিয়া সকলের বিরাগ ভাজন হইতেন। উত্তর বঙ্গের মুক্ত উদার প্রকৃতি তাহাকে মুগ্ধ করিতো। জনপদের সীমানা ছাড়াইয়া,সবুজ বনভূমি ও তৃণাচ্ছাদিত প্রান্তরের বক্ষস্থল ভেদ করিয়া, আঁকাবাঁকা পথে ফুলেশ্বরী নাম্নী যে স্বচ্ছসলিলা নদীটি কুলু কুলু রবে বহিয়া যাইতো, তাহা তাহাকে আকর্ষণ করিতো। নদী তীরস্থ ছায়াবৃক্ষতলে বসিয়া প্রতাপাদিত্য পরিচিত অপরিচিত নাম না জানা শত শত বিহগের কল কাকলি শ্রবণে মুগ্ধ হইতেন। গো-পালক রাখাল বালকদিগের বংশীধ্বনি তাহার মন কে আকুল করিতো। প্রকৃতি প্রেমিক হইলে মনে কবিত্বের সঞ্চার স্বাভাবিক। প্রতাপাদিত্য যাহাই দেখিতেন,সেই বিষয় লইয়াই সংস্কৃত শ্লোকের মাধ্যমে কবিতা রচনা করিতেন। অপরাহ্ন কালে  ফুলেশ্বরী নদীতে যে সকল তরুণী যুবতীরা কলস কাঁখে পানীয় জল সংগ্রহের নিমিত্ত আসিতেন, তন্মধ্যে বিভাবতী নাম্নী এক সুদর্শনা,সুকেশী যুবতীর প্রতি প্রতাপাদিত্য আকৃষ্ট হইয়াছিলেন। বিভাবতী কে প্রণয় নিবেদনের উদ্দেশ্যে প্রতাপাদিত্য নিয়মিত অপরাহ্নে  নদী তীরবর্তী ছায়াবৃক্ষতলে বসিয়া নদী র শোভা নিরীক্ষণ করিতেন এবং পশু পক্ষী, কীট পতঙ্গ, বৃক্ষ,লতা,মেঘ,নদী যে কোন বিষয় কে উপলক্ষ করিয়া চতুরতার সহিত শ্লোক সৃষ্টি করিয়া আবৃত্তির ছলে তাহার মনোগত বাসনা ব্যক্ত করিতেন।বিভাবতী যদিও বুঝিতেন, ঐ সকল শ্লোকের মূল উদ্দেশ্যই প্রেম নিবেদন,তবুও কটাক্ষপাত না করিয়া  আপন সহচরীদিগের সহিত নীরবে কলস পূর্ণ করিয়া গৃহে প্রত্যাবর্তন করিতেন। 
এই রূপে দিন,মাস,বর্ষ পূ্ণ হইল,এক বর্ষ শেষে অপর বর্ষের আগমন ঘটিল, তথাপি বিভাবতীর কোন রূপ সাড়া না পাইয়া বিরক্তি তে প্রতাপাদিত্যের ধৈর্যচ্যুতি ঘটিল।ইতিমধ্যেই তাহার এই নিয়মিত অপরাহ্নে নদী তীরে বসা সমাজপতি অভিভাবক কুলের দৃষ্টি আকর্ষণ করিয়াছিল,এবং তাহাদের মধ্যে গোপনে এই বিষয়ে  যথেষ্ট আলোচনা ও হইয়াছিল।উপরন্তু দিনের পর দিন শ্লোক রচনা করিতে করিতে প্রতাপাদিত্যের শব্দ ভাণ্ডারেও টান পড়িয়াছে,তাই মাঝে মাঝেই মুগ্ধ দৃষ্টিতে কলস কাঁখে বিভাবতীর অপরূপ রূপ প্রত্যক্ষ করা ভিন্ন তাহার আর কিছুই করিবার থাকিত না,কারণ ক্লান্ত মস্তিস্ক আর পূর্বের ন্যায় সহজেই শ্লোক সৃষ্টিতে সক্ষম হইতো না। দিনের পর দিন রৌদ্র,বৃষ্টি,শীত উপেক্ষা করিয়া ঘন্টার পর ঘন্টা নীরবে প্রতীক্ষা সত্ত্বেও বিভাবতীর চিত্ত জয়ে সমর্থ না হইয়া প্রতাপাদিত্যের হৃদয়ে বর্ষার এক অপরাহ্নে প্রচণ্ড ক্রোধের উদয় হইলো। তিনি স্থির করিলেন,ঐ দিন অপরাহ্নে যে উপায়েই হউক,তিনি সরাসরি বিভাবতীর সন্মুখে উপস্থিত হইয়া তাহাকে প্রেম নিবেদন করিবেন,এবং ফলাফল যাহাই হউক,এই প্রচেষ্টাই তাহার শেষ প্রচেষ্টা।
বর্ষার ধারা স্নাত অপরাহ্নে নব ধারা জলে পুষ্ট,স্ফীত ফুলেশ্বরী নব উদ্যমে কল কল খল খল শব্দে ছুটিয়া চলিয়াছে।কাজল কালো মেঘের ছায়ায় বৃষ্টি স্নাত কদম্ব রাশির শোভ দর্শনে মন মুগ্ধ,এমন সময়ে প্রতাপাদিত্য লক্ষ্য করিলেন,দূরে প্রান্তর মধ্যস্থ পথ বাহিয়া সহচরী পরিবেষ্টিত বিভাবতী কলস কাঁখে এক অপুর্ব ছন্দে পদ চালনা করিয়া নদী অভিমুখে আসিতেছেন।একেই অপরূপ প্রাকৃতিক দৃশ্য তাহার মনে মুগ্ধতার সৃষ্টি করিয়াছিল,তদুপরি কলস কাঁখে লীলায়িত ছন্দের রমণী রূপ ,মুগ্ধ প্রতাপাদিত্যের ঘুমন্ত কবিত্ব শক্তিকে জাগাইয়া তুলিল।তিনি চিন্তা করিলেন,কত পীড়ন,কত তাপ সহ্য করিয়া টিঁকিয়া থাকে বলিয়াই কলস এত ভাগ্যবান।কষ্ট বা দুঃখ বিনা সুখ লাভ সম্ভব নহে।তিনি মনে মনে চতুর কৌশলতার সহিত একটি শ্লোক সৃষ্টি করিতে লাগিলেন।কলস জলে পূর্ণ করিয়া,বিভাবতী যখন কলস কাঁখে গমনোদ্যত, তখন প্রতাপাদিত্য এক কদম্ব বৃক্ষের অন্তরালে দণ্ডায়মান হইয়া উদাত্ত কন্ঠে বলিলেন:
ন জানাসি কলস ত্বং
ভাগ্যং ফলতি সর্বত্র।
যত্নে কৃতে যদি ন সিদ্ধতি
মম দোষঃ কোহত্র ?
[ হে কলস, তুমি জানো না, ভাগ্যই সর্বত্র কাম্য ফল প্রদান করে। যত্ন করিলেও যদি কার্য সিদ্ধি না হয়, তাহা হইলে আমার আর দোষ কি ? ] 
শ্লাঘ্যং নীরস কাষ্ঠ তাড়ন শতং
শ্লাঘ্যঃ প্রচণ্ড আতপঃ
শ্লাঘ্যং পঙ্ক বিলেপনং পুনরিহ
শ্লাঘ্যোহ অতি দাহানলঃ। 
[তোমাকে প্রস্তুত করিবার সময়ে কুম্ভকার যে তোমাকে শুষ্ক কাষ্ঠ দণ্ড দ্বারা শত শত বার  প্রহার করিয়াছে ,তাহার ফল তোমার কাছে আজ প্রশংসনীয়। তৎ পরে কুম্ভকার তোমাকে যে প্রখর রৌদ্রে দগ্ধ ও শুষ্ক করিয়াছে,তাহার ফল ও তোমার কাছে আজ প্রশংসা যোগ্য  মনে হইতেছে। সর্বশেষে কুম্ভকার পুনরায় তোমার উপরে পঙ্ক লেপন করিয়া যে রূপে প্রচণ্ড অগ্নিতে তোমায় দগ্ধ করিয়াছে ,তাহা ও আজ তোমার নিকটে পরম গর্বের বিষয়।]
যৎ কান্তা কুচকুম্ভ
পেলব বাহুলতিকা- 
কটিদেশ হিল্লোল লীলাসুখং
লব্ধং কুম্ভবর ত্বয়া।
[যে হেতু তুমি যুবতী রমণীর কটিদেশে আরোহণ করিয়া,তাহার কোমল কুম্ভসদৃস স্তন যুগলের স্পন্দন ও বাহুলতিকা বেষ্টনের স্পর্শ সুখ অনুভব করিতেছ, সেই হেতু তোমার সমস্ত ক্লেশ আজ সার্থক ।]
নহি সুখং ভাগ্যৈর্বিনা লভ্যতে
ব্যর্থ সর্ব বিদ্যা চ পৌরুষম্
তথাপি তস্য তদেব মধুরং
যস্য মনো যত্র সংলগ্নম্।।
[ভাগ্য ব্যতীত সমস্ত বিদ্যা ও পৌরুষ ব্যর্থ,ভাগ্য ব্যতীত সুখলাভ ও অসম্ভব।তথাপি যাহার মন যাহাতে অনুরক্ত,তাহার  নিকট সেই টিই সর্বাপেক্ষা সুন্দর।]

বিভাবতী যে প্রতাপাদিত্যের  প্রতি এত দিন নজর দেন নাই বা  তাহার সহিত এত দিন বাক্যালাপ পর্যন্ত করেন নাই,তাহার কারণ এই নয় যে,বিভাবতী প্রতাপাদিত্য কে পছন্দ করেন নাই। শুধু মাত্র এক বার চোখের দেখা দেখিবার জন্য ও মনের কথা প্রকাশ করিবার জন্য যে পুরুষ শীত,গ্রীষ্ম,বর্ষা, প্রতিদিন ঘন্টার পর ঘন্টা তাহার জন্য নদী তীরে ব্যাকুল নয়নে অপেক্ষা করিতে পারেন, তাহাকে আর যাহা হউক, প্রেমিক নহে- এই অপবাদ অন্ততঃ দেওয়া যায় না। প্রতাপাদিত্য কোনরূপ উপার্জন করেন না,এইরূপ পুরুষের সহিত কেহ তাহার কন্যার বিবাহ দিবে এই রূপ চিন্তা ও বাতুলতা মাত্র,তাই এই প্রেম নিস্ফল হইবে ভাবিয়াই বিভাবতী সাড়া দেন নাই। বিভাবতী শুধু সুন্দরীই নন,তিনি শিক্ষিতা,এবং গৃহে অবসর সময়ে সংস্কৃত সাহিত্য পাঠ করেন। প্রতাপাদিত্যের শ্লোক শ্রবণে বিভাবতী উপলব্ধি করিলেন যে, প্রতাপাদিত্য সত্যই সাহিত্য রসিক, এবং তাহার মনের সর্বত্র তাহারই আসন পাতা। তাই পুলকিত অথচ সংযত স্বরে বিভাবতী কিঞ্চিত অগ্রসর হইয়া প্রতাপাদিত্যকে উদ্দেশ্য করিয়া বলিলেন :
অসারে খলু সংসারে
সার অর্থং সত্যং ইতি
অর্থস্য পুরুষো দাসঃ
দাসস্ত্বর্থো ন কস্যচিৎ।
[ অসার সংসারে অর্থই যে সারবস্তু,ইহা অতি সত্য। অর্থ কখনই কাহার ও দাস নয়, কিন্তু মানুষ অর্থের দাস।]
মাতা নিন্দতি 
ন অভিনন্দতি পিতা
 ভ্রাতা চ ন সম্ভাষতে।
ভৃত্যঃ কুপ্যতি 
নানুগচ্ছতি সুতঃ
 কান্তা চ ন আলিঙ্গতে।
[অর্থ না থাকিলে মাতা নিন্দা করেন, পিতা অভিনন্দন জ্ঞাপন করেন না, ভ্রাতা ও সম্ভাষণ করে না। ভৃত্য অকারণে ক্রোধ প্রকাশ করে,পুত্র অবাধ্য হয় এমন কি পত্নী প্রেমালিঙ্গন করে না।]
অর্থ প্রার্থনা শঙ্কয়া
ন কুরুতেহপ্য আলাপ মাত্রং সুহৃত
তস্মাদ অর্থম উপার্জয় শৃণু সখে
অর্থেন সর্বে বশাঃ।।
[অর্থহীন ব্যক্তি অর্থ প্রার্থনা করিবে,এই শঙ্কায় বন্ধু বান্ধবেরা তাহার সহিত আলাপ পর্যন্ত করে না,অতএব সখা শোনো,অর্থ উপার্জনে যত্নবান হও,অর্থের দ্বারা সকলেই বশীভূত হয়।]

এই ঘটনার পরবর্তী কালে প্রতাপাদিত্য আর নদী তীরে সময় ব্যয় না করিয়া অর্থ উপার্জনে ব্রতী হইয়াছিলেন। তাহার সহিত তাহার প্রণয়ী  বিভাবতীর বিবাহ হইয়াছিল, বা হয় নাই,সেই বিষয়ে বিশদ জানিবার উপায় নাই। উত্তরবঙ্গের সেই অখ্যাত জনপদ শিলগাড়া আজ বিরাট এক উন্নত মানের শহর।ফুলেশ্বরী কালের করাল গ্রাসে আজ এক মৃতপ্রায় নালার মতো। সেই বনভূমি ও তৃণাচ্ছাদিত প্রান্তরের চিহ্নমাত্র অবশিষ্ট নাই। শুধুমাত্র কিছু লেখকই এইরূপ ঘটনা তাহাদের কল্পনা জগতে বিচরণ কালে  দেখিয়া থাকেন ও লেখিয়া থাকেন।কাজেই,আজকালের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে আর কেহ চরিত্র গুলিকে খুঁজিয়া বাহির করিবার চেষ্টা করিবেন না।

তবে,পাঠকগণ নিশ্চয় প্রশ্ন করিবেন,এই ঘটনা আজকের দিনে জানিয়া আমাদের কি লাভ ? লাভ যেমন নাই,ক্ষতি ও তো তেমন কিছু নাই। যে সংস্কৃত ভাষা এত সবল,সুন্দর,এবং অলঙ্করণ ব্যঞ্জনায় সমৃদ্ধ, তাহা কে আমরা ত্যাগ করিয়াছি,তাই তো আধুনিকতার নামে বাধ্য হইয়া আমাদের কু-সাহিত্য হজম করিতে হইতেছে।তাহা ছাড়া,একজন লেখক কে লেখার উপযোগী হওয়ার জন্য যেমন অনেক কিছু জানিতে ও বুঝিতে হয়,তেমনি উপযুক্ত পরিবেশে সেই সঞ্চিত জ্ঞান কে প্রয়োগ ও করিতে হয়।গ্রামে ভ্রমণ কালে,প্রতাপাদিত্য কি রূপে কুম্ভকারগণ কলস প্রস্তুত করেন,তাহা প্রত্যক্ষ করিয়াছিলেন।ঐ জ্ঞান তাহার মনের মধ্যে সঞ্চিত ছিল। বিভাবতী র সহিত কথা বলিবার জন্য তাই তিনি সহজেই কলস কে অবলম্বন করিয়া,রস সঞ্চার সহকারে আপন বক্তব্য জানাইতে পারিয়াছিলেন।প্রতাপাদিত্যের রসবোধে প্রীত হইয়া বিভাবতী ও তাহাকে সুন্দর রূপে বাস্তব জ্ঞান প্রদান করিয়াছেন যে,অর্থোপার্জন ব্যতীত পুরুষের সম্পুর্ণতা লাভ হয় না।তাই আমার নিবেদন, আপনারা প্রতিনিয়ত আপনাদের চতুর্দিকে যাহা কিছু প্রত্যক্ষ করিতেছেন,তাহার সম্বন্ধে যাহা কিছু অবগত হইবেন,তাহা কে সুযোগ ও সুবিধা মত উপযুক্ত ভাষা সহকারেআপনার লেখায় প্রকাশ করিতে সচেষ্ট হইবেন,তবেই তাহা আধুনিক সাহিত্য হিসাবে বিবেচিত হইবে।।


*****************************
সমর কুমার সরকার / শিলিগুড়ি
***************************** 
Creative Commons License
রম্যরচনা : ন হি সুখং দুঃখৈর্বিনা লভ্যতে by সমর কুমার সরকার / শিলিগুড়ি is licensed under a Creative Commons Attribution-NonCommercial-NoDerivs 3.0 Unported License.Based on a work at samarkumarsarkar.blogspot.com

[<a rel="license" href="http://creativecommons.org/licenses/by-nc-nd/3.0/deed.en_US"><img alt="Creative Commons License" style="border-width:0" src="http://i.creativecommons.org/l/by-nc-nd/3.0/88x31.png" /></a><br /><span xmlns:dct="http://purl.org/dc/terms/" property="dct:title">রম্যরচনা : ন হি সুখং দুঃখৈর্বিনা লভ্যতে</span> by <a xmlns:cc="http://creativecommons.org/ns#" href="http://www.blogger.com/blogger.g?blogID=1050337976214013732#editor/target=post;postID=8434583068855844656" property="cc:attributionName" rel="cc:attributionURL">সমর কুমার সরকার / শিলিগুড়ি</a> is licensed under a <a rel="license" href="http://creativecommons.org/licenses/by-nc-nd/3.0/deed.en_US">Creative Commons Attribution-NonCommercial-NoDerivs 3.0 Unported License</a>.<br />Based on a work at <a xmlns:dct="http://purl.org/dc/terms/" href="samarkumarsarkar.blogspot.com" rel="dct:source">samarkumarsarkar.blogspot.com</a>.]

Saturday, December 15, 2012

বেদেনী ও স্বৈরিণী - সমর কুমার সরকার / শিলিগুড়ি



বেদেনী ও স্বৈরিণী

রাঙা মাটির দেশে,নদীর চরে,
শরের বনে,কাঁটা ঝোপের ঝাড়ে,
ভয়াল সব নাগ নাগিনীর ডেরা,
আহার,বিহার,নিদ্রা,শিকার ধরা।
অহি কুলের কৌলিক নিয়মে,
বংশ ধারা বাড়ছে ক্রমে ক্রমে।
তরুণ কিছু ভয়াল মহানাগ,
অকারণেই দেখায় মনের রাগ,
নাগিনীতে মন ভরে না আর,
চার দিকেতে চালায় অত্যাচার।
ফণা তুলে শ্বাস ছাড়ে হিস্...হিস্..,
সুযোগ পেলেই ঢালে দাঁতের বিষ।

বেদের মেয়ে বেদেনী ফুলমতি,
খবর পেয়ে এসেছে সম্প্রতি,
সঙ্গে বেতের ঝাঁপি,মাটির হাঁড়ি,
বিষপাথর আর জড়িবুটির ঝুড়ি।
গন্ধ শুঁকে শরের বনে গিয়ে-
দেখতে পেলো,আছে যে লুকিয়ে,
শঙ্খচূড় এক ভয়াল মহাকাল,
মহা ক্রোধে চোখ দুটি তার লাল।
সাবধানেতে বেদেনী ফুলমতি,
পাতায় আগুন জ্বালিয়ে দ্রুত গতি,
গরম করে মাটির নতুন হাঁড়ি,
হাতে তে নেয় হেতাল ডালের ছড়ি।
দুলিয়ে কোমর,বক্ষ আগে পিছে,
নাগ কে ডাকে ইঙ্গিতে তার কাছে।
আচম্বিতে বসে হাঁটু মুড়ে,
গরম হাঁড়ি সামনে নাড়েচাড়ে।

দুলিয়ে ফণা,লেজে দিয়ে ভর,
চোখ রেখে নাগ মাটির হাঁড়ির পর -
ছোবল মেরে মাটির হাঁড়ির গা-য়,
যন্ত্রণাতে ফণা টি গুটায়।
খেয়ে মুখে গরম হাঁড়ির ছেঁকা,
নাগরাজের বুদ্ধি ভ্যাবাচাকা।
হেতাল ছড়ি দিয়ে চেপে জোরে,
বেদেনী তার মুণ্ড চেপে ধ'রে-
ঝটকা মেরে খুলে ঝাঁপির ডালা,
নাগ কে চালান করে,দিয়ে ঠ্যালা।
বিষ তুলে আর চামড়া বেচে তার,
হাতে মেলে নগদ এক হাজার।

একই সময় দূরেতে শহরে,
বিলাসবহুল পান্থশালার ঘরে-
মদ্যপানে অশান্ত এক নর,
কামের বিষে শরীর যে জর্জর।
শঙ্খচূড়ের মত ছাড়ে শ্বাস,
চাই রমণীর সঙ্গ,সহবাস।
পছন্দ নয় মামুলী রমণী,
তাই এসেছে দেহ পসারিনী।

খোলা খোঁপা,বক্ষের বন্ধন,
আদুল গায়ে জ্বলন্ত যৌবন।
হাস্য মদির চোখে ঝিলিক হানে,
মুগ্ধ পুরুষ আপনি যে বশ মানে।
দাঁত ফুটিয়ে তপ্ত পয়োধরে,
মুখ টি ঘষে,ছটফটিয়ে মরে।
নাগের হাঁচি বেদেনী রা চেনে,
নিভিয়ে আলো,পুরুষ কে সে টেনে,
চেনায় দেহের যত চোরা গলি,
মুক্ত করে পুরুষ বিষের থলি।
শ্রান্ত দেহে বেদেনী-স্বৈরিণী,
হাজার টাকা মজুরি নেয় গুনি।

বেদেনী আর স্বৈরিণীদের নেশা,
নাগ নাচানো,বশ মানানোর পেশা।
বন-জঙ্গল,নদীর বালুচরে,
প্রমোদ-কানন,পান্থশালার ঘরে,
একই ভাবে নাগ ও পুরুষ জ্বলে,
ছোবল মেরে বিষ যে তাদের ঢালে।
তাদের মহা বিষ কে দমন করে,
অন্ন জোটে ওদের আপন ঘরে।

*******************************
সমর কুমার সরকার / শিলিগুড়ি 
********************************
Creative Commons License
বেদেনী ও স্বৈরিণী by সমর কুমার সরকার / শিলিগুড়ি is licensed under a Creative Commons Attribution-NonCommercial-NoDerivs 3.0 Unported License.Based on a work at samarkumarsarkar.blogspot.com

[<a rel="license" href="http://creativecommons.org/licenses/by-nc-nd/3.0/deed.en_US"><img alt="Creative Commons License" style="border-width:0" src="http://i.creativecommons.org/l/by-nc-nd/3.0/88x31.png" /></a><br /><span xmlns:dct="http://purl.org/dc/terms/" property="dct:title">বেদেনী ও স্বৈরিণী</span> by <a xmlns:cc="http://creativecommons.org/ns#" href="http://www.blogger.com/blogger.g?blogID=1050337976214013732#editor/target=post;postID=3406064033730723225" property="cc:attributionName" rel="cc:attributionURL">সমর কুমার সরকার / শিলিগুড়ি</a> is licensed under a <a rel="license" href="http://creativecommons.org/licenses/by-nc-nd/3.0/deed.en_US">Creative Commons Attribution-NonCommercial-NoDerivs 3.0 Unported License</a>.<br />Based on a work at <a xmlns:dct="http://purl.org/dc/terms/" href="samarkumarsarkar.blogspot.com" rel="dct:source">samarkumarsarkar.blogspot.com</a>.]

Monday, December 10, 2012

সঠিক পথ টি তোমরা দেবে কি বলে ? - সমর কুমার সরকার / শিলিগুড়ি


সঠিক পথ টি তোমরা দেবে কি বলে?

বহু পথ আজ পেরিয়ে এসেছি
সময়ের সাথে সাথে।
হঠাৎ চমকে থমকে দাঁড়িয়ে 
ত্রিমার্গী এক পথে।
পিছনের পানে ফিরে যাওয়া আজ মানা,
সামনের পথ দুই দিকে গেছে টানা।
দিক নির্দেশ -'বামে' আর 'দক্ষিণে',
আপনার পথ আপনি নাও হে চিনে।
কোন দিকে যাবো,মনে আজ সংশয়,
কোন পথে জয়,কোন পথে চির লয়।
কোন পথে গেলে পাবো খুঁজে নিজ জন?
কোন পথে সব হারাবার প্রলোভন ?

শুনি,দক্ষিণে চির বসন্ত রাজে,
রাজা,মহারাজা দীনের সেবক সাজে।
হীরে,জহরতে ভরে না তাদের মন,
'দেশ সেবা' ভাবে সস্তার বিনোদন।
পরোপকারের ছলে ভরে নিজ থলি,
মুখেতে মিথ্যা সাম্যবাদের বুলি।
জনসেবা নামে রাষ্ট্রক্ষমতা ভোগ,
সাত পুরুষের অঢেল প্রাপ্তি যোগ।
সুরার আসরে ঝাড় লন্ঠন জ্বেলে, 
শুনেছি উহারা গরীবের কথা বলে।
মুখে যাহা বলে, মিথ্যা জানিয়া মনে,
আত্ম প্রচারে ধোঁকা দেয় জনগণে।

দক্ষিণ পথে হাজার দুয়ার খোলা,
দেনা পাওনার হিসাব মাপিয়া চলা।
একই রাজাসনে লোভী যত প্রত্যাশী
ঘোরে পাশাপাশি,আহ্লাদে ঘেঁষাঘেঁষি।
নানা টুপি,নানা পাগড়ির ছড়াছড়ি,
মুখোশে মুখোশে বড় ভাব,জড়াজড়ি। 
আপনার জন,আপনার পরিবার,
চাই প্রতিষ্ঠা,জনগণ কোন ছার ? 
দাম্ভিক যত,চরম স্বেচ্ছাচারী,
দক্ষিণ পথে তারাই দলেতে ভারী। 
তোমার আমার জন্য সেথায় ঘৃণা
ভাবো একবার,দক্ষিণে যাবো কি না ?

শুনি বাম পথ সকলের তরে নয়,
সদা অশান্ত জীবন ঝঞ্ঝাময়।
সেথা নাই কোন ছায়া ঘেরা বন বীথি
সর্বহারারা সেথায় নিত্য সাথী।
সেথায় মাটিতে কৃষক ফলায় ধান,
শ্রমিক গতরে খাটিয়া বাঁচায় প্রাণ।
বর্ণভেদ ও জাতিভেদ সেথা নাই,
হাতে হাত ধরে এগিয়ে চলে যে তাই-
'সামনে লক্ষ্য,তুলে নাও হাতিয়ার
চাই সন্মান,মানুষের অধিকার।'
রক্ত পতাকা  যোগায় আশার বাণী
শোষণ মুক্ত সমাজের আগমনী।

বাম পথে আজ নোংরা কাদার ছাপ,
নাই বলিদান,হৃদয়ের উত্তাপ।
শৃগাল,শকুন সেথায় দিয়েছে হানা,
আঁধার পথের পথিকের আনাগোনা।
শ্রমিক দরদী,কৃষক দরদী নেতা,
আয়েসী,বিলাসী যত সব অভিনেতা-
আত্মসুখের খোঁজেতে কাটায় কাল,
কৃষক লুটায়,রক্তে তে মাটি লাল।
মনে বড় ক্ষোভ ঘৃণা আর অপমানে,
পর করিয়াছে ওরা যে আপন জনে।
দম্ভ ওদের হয় নি যে আজ ও ক্ষয়,
বাম পথ আজ আর  নিরাপদ নয়।

কত দিন আর করি অপেক্ষা,ক্লান্তিতে দেহ টলে,

সঠিক পথ টি তোমরা দেবে কি বলে ?

***************************************
সমর কুমার সরকার / শিলিগুড়ি
***************************************
Creative Commons License
সঠিক পথ টি তোমরা দেবে কি বলে ? by সমর কুমার সরকার / শিলিগুড়ি is licensed under a Creative Commons Attribution-NonCommercial-NoDerivs 3.0 Unported License.Based on a work at samarkumarsarkar.blogspot.in

[<a rel="license" href="http://creativecommons.org/licenses/by-nc-nd/3.0/deed.en_US"><img alt="Creative Commons License" style="border-width:0" src="http://i.creativecommons.org/l/by-nc-nd/3.0/88x31.png" /></a><br /><span xmlns:dct="http://purl.org/dc/terms/" property="dct:title">সঠিক পথ টি তোমরা দেবে কি বলে ?</span> by <a xmlns:cc="http://creativecommons.org/ns#" href="http://www.blogger.com/blogger.g?blogID=1050337976214013732#editor/target=post;postID=2388001363807827360" property="cc:attributionName" rel="cc:attributionURL">সমর কুমার সরকার / শিলিগুড়ি</a> is licensed under a <a rel="license" href="http://creativecommons.org/licenses/by-nc-nd/3.0/deed.en_US">Creative Commons Attribution-NonCommercial-NoDerivs 3.0 Unported License</a>.<br />Based on a work at <a xmlns:dct="http://purl.org/dc/terms/" href="samarkumarsarkar.blogspot.in" rel="dct:source">samarkumarsarkar.blogspot.in</a>.]